যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউনে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে এই কারফিউ কার্যকর হবে। মেয়র কারেন বাসের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারফিউ স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং সম্ভবত কয়েক দিনের জন্য চলবে।
অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানের জেরে গত শুক্রবার থেকে বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটিতে চলমান এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে ইতোমধ্যে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বিক্ষোভ দমননীতি আগুনে ঘি ঢালছে আরো; বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকো, ডালাসের মতো বড় শহরগুলোতেও।চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। এ অবস্থায় লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউনে কারফিউ জারি করেন মেয়র কারেন বাস।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই বিক্ষোভের কারণে এখন পর্যন্ত অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। শুধু গত রাতেই ২৩টি দোকান লুট করা হয়েছে। আপনি যদি ডাউনটাউন এলএ-তে গিয়ে থাকেন, দেখবেন সর্বত্রই গ্রাফিতি- যা ব্যবসা ও সম্পত্তির বিশাল ক্ষতি করেছে। আমার বার্তা হলো- যদি আপনি ডাউনটাউন এলএ-তে বসবাস না করেন বা কাজ না করেন, তবে দয়া করে ওই এলাকা এড়িয়ে চলুন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারফিউ ভঙ্গকারীদের গ্রেপ্তার করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম মঙ্গলবার ট্রাম্পের পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসের ওপর এক ধরনের সামরিক জাল ফেলেছেন।”লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্প প্রশাসন ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা সেনা মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন নিউসোম। প্রাথমিকভাবে তাদেরকে সরকারি ভবন পাহারা দিতে আনা হলেও, এখন তারা অভিবাসনবিরোধী এজেন্টদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করছেন।নিউসোম অভিযোগ করেন, ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি এখন আর শুধু অপরাধীদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে না, বরং বাড়ির দারোয়ান, মালি, দিনমজুর এবং দর্জিদের মতো সাধারণ শ্রমজীবী মানুষরাও এর শিকার হচ্ছেন।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন